বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ও শেরপুর শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় নাটকটির সেট ডিজাইন, কোরিওগ্রাফি, লাইটিংয়ের কাজ করছেন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের নাট্যকলা ও চারুকলার শিক্ষার্থী। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা অক্টোবরের শুরুতে নাটকটি মূল মঞ্চায়নের কথা রয়েছে। নাটকে চিত্রকরের জীবনের তিনটি সময়ের দৃশ্যায়ন করা হবে। একই সাথে লাইলী ও চিত্রার সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্পও ফুটিয়ে তোলা হবে মঞ্চে।
একজন চিত্রকরের জীবনের প্রেম ও সংসার জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে শিল্পী একটি দর্শকপ্রিয় নাটক। নাটকে চিত্রকরের চরিত্রে এক যুগ পর মঞ্চে ফিরছেন শেরপুরের গণমাধ্যমকর্মী ইমরান হাসান রাব্বী, লাইলী চরিত্রে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা রহমান ও চিত্রা চরিত্রে রয়েছেন সুইটি মল্ডল।
এদিকে ২০১১ সালের জানুয়ারীতে মুনীর চৌধুরীর কবর নাটকে মঞ্চে শেষ কাজ করেছিলেন গণমাধ্যমকর্মী ইমরান হাসান রাব্বী। দীর্ঘ সাংবাদিকতার ক্যারিয়ারে মঞ্চের কাজে ভাটা পড়লেও এক যুগের বেশি সময় পর তিনি নজরুলেএ শিল্পী হয়ে মঞ্চে ফিরছেন। রাব্বী বর্তমানে টেলিভিশন সাংবাদিকতার কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত নাট্যকার ও নির্দেশক আল্ জাবির সম্প্রতি শেরপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ও শেরপুর শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ থিয়েটারের “একাত্তরের বীরকন্যা” নাটকটির সফল মঞ্চায়নের পর শেরপুরের নাট্যঙ্গনে বহুল আলোচিত হন। সে নাটকের জিকে পাইলট স্কুলে নির্মিত সেট ও লাইট ডিজাইনের নজড়কাড়া দৃশ্য শেরপুরের দর্শক মহলে ব্যপক সাড়া ফেলে। আল্ জাবির বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর পাশাপাশি তিনি উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি, ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট এবং প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের রিসোর্স পার্সন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের কারিকুলাম কমিটি মেম্বার, বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি অভিব্যক্তি ও মূল্যমান নির্ধারণ প্রকল্পের বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।