বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের স্লোগানের মধ্যে ছিল “বন্যায় যখন মানুষ মরে, আবরার তোমায় মনে পড়ে; জ্বালো রে জ্বালো; ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা, ঢাকা! ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, ভারতীয় আগ্রাসন! আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, ভারত যদি মানুষ মারে, সেভেন সিস্টার থাকবে না রে”—এসব স্লোগান শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।
ছাত্র সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে পরাজিত শক্তিরা এখনো বিভিন্নভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এবং ভারত এই কুচক্রীমহলকে বিভিন্নভাবে আশ্রয় দিচ্ছে। ভারত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আন্তর্জাতিক নদীর বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের দেশে কৃত্রিম বন্যা তৈরি করছে। তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের সকল আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করেন। তারা আরও বলেন, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে বুয়েটের আবরারকে জীবন দিতে হয়েছে, এবং দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।
বিক্ষোভের পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের মাধ্যমে বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে। “বন্যার্তদের জন্য নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়” নামে এই কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতিও একাত্মতা প্রকাশ করে।