কৃষি

আশা যেনো হতাশা হয়ে গেলো: বন্যার পানিতে তলিয়ে গেল কৃষকের স্বপ্ন

আল আমীন, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় নালিতাবাড়ী উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন আমন ধানের ১৩৩০০ হেক্টর আবাদি ফসল।

৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা ভারি বর্ষণ ও ভারি বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের সবক’টা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরমধ্যে কয়েকটি নদী একাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙে আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় ১৩৩০০ হেক্টর আমন ধানের ফসল ও রবি শস্য আবাদ নষ্ট হয় ১৩৫ হেক্টর জমির সবজি ।

শেরপুর জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৬৫৯ মিলিমিটার, পাহাড়ি নদী চেল্লাখালীর পানি ৫২৫ মিলিমিটার ও ভোগাই নদীর দুটি পয়েন্টের পানি ১৭২ মিলিমিটার এবং ৫৬ মিলিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের হাতিপাগার ও নাকুগাও গ্রামের কৃষকেরা বলেন, আমরা বছরে দুইবার ধান চাষ করে আমাদের জীবন জীবিকা চালাই। আমাদের নেই কোন ব্যাবস্থা বানিজ্য, এবারের বন্যার পানিতে মাটির পৈল এসে আমরা যে জমিতে আমন ধান করেছিলাম,যা দিয়ে আমাদের পুরো সংসার চলে, বারতি আয়ের কোন উৎস নাই। কৃষি ছাড়া আর কিছুই নেই। সামনের দিন যে আমাদের কীভাবে কাটবে আল্লাহ ভালো জানেন। এই অবস্থায় আমরা যদি সরকারি ভাবে কোন সাহায্য সহযোগীতা পেতাম তাহলে সবার জন্যেই উপকার হতো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রায় ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ১৩৩০০ হেক্টর আমন ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা বলেন বন্যার পানি নেমে গেলে কৃষি অফিস থেকে এলাকাবৃত্তিক পরিদর্শন করে কৃষকদের সহায়তা এবং পরামর্শ দেওয়া হবে।

desherpotrika
the authordesherpotrika

Leave a Reply